প্রকাশিত: Sun, Jun 25, 2023 11:10 PM
আপডেট: Sun, Jun 29, 2025 6:43 PM

চেয়ারম্যানের স্বেচ্ছাচারিতায় হলি ফ্যামিলির সেবার মান তলানিতে

মোস্তাফিজুর রহমান: রোববার ‘হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল: সুশাসনের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক একটি ভার্চুয়াল সম্মেলনের আয়োজন করে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। তাদের গবেষণায় তারা রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যানের অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতাকে ঢাকার এই ঐতিহ্যবাহী হাসপাতালটির সেবার মান তলানীতে নামার কারণ হিসেবে দেখিয়েছেন। গবেষণাটি উপস্থাপন করেন টিআইবির গবেষক তাসলিমা আক্তার ও মাহফুজুল হক। সূত্র: ইত্তেফাক

প্রতিবেদনে বলা হয়, ক্রয় আইন, তথ্য অধিকার আইন ও মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল সংক্রান্ত আইন অমান্য করলেও হলি ফ্যামিলি হাসপাতালের  জবাবদিহি নিশ্চিত হয়নি। অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা ও অসম চুক্তিসহ বিবিধ দুর্নীতির কারণে চিকিৎসা সেবার মান নিম্নগামী হয়েছে। সুনাম নষ্ট হয়েছে, রোগীর পরিমাণ ও হাসপাতালের আয় হ্রাস পেয়েছে। ফলে ব্যর্থ হয়ে ক্রমেই এটি একটি দুর্বল প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন

টিআইবির গবেষণা বলছে, হিসাব করে দেখা গেছে, হাসপাতালটির ২০৮ কর্মকর্তা-কর্মচারীর কোনো কাজই নেই।

গবেষকেরা বলছেন, এসব নিয়োগ দেওয়া হয়েছে রাজনৈতিক বিবেচনায়। নিয়োগের ক্ষেত্রে কোনো নিয়মনীতি মানা হয়নি। নিয়োগের ক্ষেত্রে অনেক সময় ব্যক্তিগত পরিচয়ের বিষয়টি প্রাধান্য পেয়েছে। নিয়োগের সময় এই কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দক্ষতা যাচাই করা হয়নি। এর প্রভাব পড়ে সেবার ওপরে। এখানকার রোগীরা সেবার মান নিয়ে অসন্তুষ্ট।

কেনাকাটায় অনিয়ম, পদোন্নতিতে অনিয়মের এ রকম নানা ধরনের অনিয়মের তথ্য পেয়েছে টিআইবি।

টিআইবি মনে করে, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যানের একচ্ছত্র ক্ষমতা ও আধিপত্যের কারণে ঐতিহ্যবাহী এ প্রতিষ্ঠান এমন দুর্বল অবস্থায় চলে গেছে।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘হাসপাতালটি পরিচালনার প্রতিটি ক্ষেত্রে সুশাসনের ঘাটতি আছে। প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান পরিস্থিতি অত্যন্ত বেদনাদায়ক, উদ্বেগজনক।’

রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির একটি অলাভজনক স্বাস্থ্যসেবামূলক প্রতিষ্ঠান হলি ফ্যামিলি হাসপাতাল। টিআইবির গবেষণায় দেখা গেছে, ৫২৮ শয্যার এ হাসপাতালে রোগী ভর্তি থাকে গড়ে ৩০০ জন। শয্যা খালি থাকার কারণে হাসপাতালের আয় কমছে। অন্যদিকে হাসপাতাল পরিচালনার জন্য যে জনবল প্রয়োজন, তার চেয়ে তিন গুণ বেশি নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

গবেষণায় কিছু সুপারিশও করা হয়েছে। সুপারিশগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো সোসাইটির চেয়ারম্যানের একচ্ছত্র আধিপত্য কমানো, জনবলের একটি কাঠামো তৈরি করা, প্রতিষ্ঠানটিকে রাজনীতিমুক্ত করা, ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা আনা। সূত্র: প্রথম আলো, সম্পাদনা: তারিক আল বান্না